জয় রাম। জয় গোবিন্দ।
শ্রী চরণে প্রনাম তোমার ঠাকুর
শ্রী শ্রী রাম ঠাকুরের ১৬৪তম আবির্ভাব তিথিতে সকলকে জানাই রামময় শুভেচ্ছা।
কলকাতার যাদবপুরের খুব কাছে রাম ঠাকুরের আশ্রম।এখানে খুব সুন্দর আশ্রম আছে। যেখানে ঠাকুরের রোজ উপাসনা হয়। মন্দিরে নাম গান হয়।প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়।মন্দিরের পরিবেশ মনমুগ্ধকর শান্ত ও সুন্দর। ভক্তরা তাদের দুঃখ কষ্ট নিয়ে আসে কিন্তু তারা মনে শান্তি নিয়ে ফিরে যায়। আজ রাম ঠাকুরের জন্মদিন প্রচুর ভক্তরা মন্দিরে এসেছেন উপাসনা করতে। বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আমার পক্ষ থেকে রাম ঠাকুরের পায়ে সশ্রদ্ধ প্রনাম।
সাধন জীবন
প্রাণিকুলের প্রতি শ্রীশ্রী রামঠাকুরের ছিল যথেষ্ট মায়ামমতা। ফুলের সুগন্ধের মতো তার আধ্যাত্মিক জ্ঞান, যৌগিক শক্তি, নানা বিভূতি প্রকাশিত হয়েছে। শ্রীশ্রী রামঠাকুর তার জীবনের অর্ধেক সময় লোকচক্ষুর আড়ালে গভীর যোগ সাধনায় মগ্ন ছিলেন। সাধনার মাধ্যমে যে মহাসত্য তিনি উপলিব্ধ করেছিলেন, তা বাকি ৪০ বছর (১৯০৮ থেকে ১৯৪৯) সকলের মঙ্গলে লোকালয়ে বিলিয়েছেন। তার কাছে, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, শুচি, অশুচির কোনও ভেদ ছিল না। সব ঘটনাই তিনি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে ব্যাখ্যা করে ভক্তদের বোঝাতেন।
শক্তির আধার
প্রকৃত অর্থেই তিনি ছিলেন সমভাব নিরপেক্ষ শক্তির আধার। মন্দির, মসজিদ, গির্জায় নয়, শ্রীশ্রীঠাকুর অবস্থান করেছেন ভক্তের প্রয়োজনে, ভক্তের আলয়ে। লোকালয়ে থাকার প্রায় ৪৫ বছর তিনি মানব মুক্তির দিশা বিতরণ করেছেন। ভক্তদের তিনি বলতেন,‘আমি আপনাদের জন্য চাইখ্যা ‘নাম’ আনছি।’ বর্তমানে সদাব্যস্ত গার্হস্থ্য সমাজে এমন এক সহজ সরল অনাড়ম্বর ‘নাম’ করার নির্দেশ এবং সত্যের প্রতি অনুরাগ পৌঁছে দিতে পারে কৈবল্য মুক্তি। বৈষ্ণব, শৈব এবং শাক্ত মতে প্রয়োজনভিত্তিক নাম বিলি করে তিনি প্রকৃত অর্থেই ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে মানব সম্প্রদায়ের প্রচার করে গিয়েছেন। তিনি শুধু আধ্যাত্মিক গুরুই নন, তিনি জন্মজন্মান্তরের মা, বাবা ও বন্ধু।